শিম ও মৌ শিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক কেমন আছেন সবাই । শীতকাল চলছে আর এই শীতকালে সবজির মধ্যে অন্যতম হলো
শিম । আপনি কি শিম ও মৌ শিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান । তাহলে আজকের
আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি শীতকালীন সবজি শিম
সম্পর্কে জানতে পারবেন ।
শীতকালীন জনপ্রিয় সবজি গুলোর মধ্যে শিম অন্যতম । শিম দেশের সব খানে চাষ করা
হয়ে থাকে আর শীতকালে বাজারে নানা জাতের শিম পাওয়া যায় । সব ধরনের রান্নায়
ব্যবহার করা যায় এই সবজিটি এবং খেতে অনেক সুস্বাদু ।
ভূমিকা
শীতের সকালে বাজারে গেলে চোখে পড়ে শিম তেমনি আবার রান্নাঘরেও শীতকালে
পাকাপোক্তভাবে জায়গা দখল করে থাকে এই শীতকালীন সবজি ।শিম রান্নায় স্বাদ বাড়াতে
শীতের সবজির কোনো জুড়ি নেই।অন্য সবজির পাশাপাশি শমের চাহিদা এখন বাজার জুরে।
জোরে
জোরে ঠান্ডা কনকনে বাতাসে গরম গরম শিম আর মাছের ঝোল শীতের খাবারটাকে বোঝানো রসনা
বিলাসিদের কাছে যেন অন্যরকম আকর্ষণীয় । অনেকে আবার শিমের বিচি দিয়ে রান্নাঘরের
নানা রকমের রান্না করে ।
শিম
শিম ইংরেজি শব্দ হলো Bean লতা জাতীয় বড় গাছের বীজ । যা বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে
।এই সবজিটি ফাবাসিয়া শ্রেণীভুক্ত।শিম পেকে শুঁকিয়ে যাবার আগে শিমের বিচি তোলা
হয় এবং রান্না করে খাওয়া হয় শিম, বরবটি ইত্যাদি নামে পরিচিত লিগিউম জাতের
(leguminous) উদ্ভিদ বা তাদের বীজ। সারা পৃথিবীতে নানাজাতীয় শিমের চাষ হয়।
এগুলি মানুষ ও গবাদি পশুর খাদ্য। মানুষের খাদ্য হিসেবে যেসব শিম ব্যবহূত হয়
সেগুলি প্রায় ১৪টি গণের অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে অন্তত ২৮টি প্রজাতির শিম
বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিমের বীজ সাধারণত বৃক্কাকার (kidney-shaped) এবং
প্রোটিনসমৃদ্ধ।শিমের অনেক জাত রয়েছে এই পৃথিবীতে ।যেমন-
- ভিসিয়া
- ফাবা বা বড় শিম
- ভিসা ফাবা বা বড় শিম আমেরিকাতে যা ফাবা শিম নামে পরিচিত
- ভিগনা
- মথ শিম
- আজুকি
- ইউরাড
- রাইস
- কাউপি
- সিসার
- পিসাম
- মটর
- লাথিরাস
- ইন্ডিয়ান মটর
- কোরাল শিম
আর দেশি জাতের শিম হল-
উন্নত জাতঃ বারি শিম-১, বারি শিম-২, বারি শিম-৩(গ্রীষ্মকালীন), বারি
শিম-৪, বারি শিম-৫, বারি শিম-৬, বারি শিম-৭(গ্রীষ্মকালীন), বারি শিম-৮ ইত্যাদি
চাষ করা হয়।
শিম চাষের পদ্ধতি
বাংলাদেশে শিম একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ। এর বীজ ও সবজি হিসেবে
খাওয়া যায়। জমি ছাড়াও রাস্তার পাশে, পথের আলে, ঘরের চালে এবং গাছেও ফলানো
যায়।দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে শিম ভালো জন্মে। দেশে ৫০টিরও বেশি স্থানীয় শিমের
জাত আছে।আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতও।আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বীজ বপণের উপযুক্ত
সময়।
বীজ বপনের আগে ১০-১২ ঘন্টা বীজ ভিজিয়ে নিতে নিন। প্রতিটি মাদায় ২-৩ টি করে সুস্থ
চারা রেখে বাকী চারা তুলে ফেলতে হয়। গাছ ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার লম্বা হলে মাদায়
গাছের গোড়ার পাশে বাঁশের ডগা মাটিতে পুঁতে বাউনির ব্যবস্থা করুন। চারার বয়স ৪০-৪৫
হলে শিমের ডগা পরস্পর প্যাঁচ লেগে যায়। এতে ডগার বৃ্দ্ধি এবং ফুল-ফল ধারণ ব্যাহত
হয়। এজন্য প্যাঁচ ছাড়িয়ে দিন।
ফসল সংগ্রহ করা হয় জাতভেদে বীজ বপনের ৯৫-১৪৫ দিন পর শিমের শুটি (পড) গাছ থেকে
তুলে বাজারজাত করা যেতে পারে। আশ্বিন-কার্তিক মাসে ফুল ধরে। ফুল ফোটার ২০-২৫ দিন
পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে শিমের কচি শুঁটি, অপক্ব বীজ এবং
পরিপক্ব বীজ সবজি হিসেবে ব্যবহার অনুসারে ৫-৭ দিন অন্তর গাছ থেকে মোট ১৩-১৪ বার
গুণগত মানসম্পন্ন ফল সংগ্রহ করা হয় ।শীতকালীন সবজি হিসেবে শিমের কদর একটু বেশি
হয়ে থাকে । শুধু রসনা বিলাসীদের কাছে না সবার কাছে । শিমের প্রচুর পরিমাণে গুন
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন , ফাইবার , ভিটামিন ও মিনারেল ।
শিম বপনের সময়
গ্রীষ্মকালে চৈত্র (মার্চ) এবং শীতকালে আষাঢ় থেকে ভাদ্র আগাম লাগালে জ্যৈষ্ঠের
মাঝামাঝিতে বোনা উত্তম। ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর।
শিমের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে আছে ৮৬.১ গ্রাম জলীয় অংশ এবং খনিজ উপাদান আছে ০.৯ গ্রাম,
আঁশ ১.৮ গ্রাম সঙ্গে ক্যালোরিও ৪৮ কিলো। এর পাশাপাশি শিম থেকে আরও পাবেন ৩.৮
গ্রাম প্রোটিন, ৬.৭ গ্রাম শর্করা, ২১০ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১.৭ মি. গ্রাম
লৌহসহ নানা উপকারী গুণাগুণ। মৌসুমি এ সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়াবে তেমনি
সুস্থ হতেও কাজ করবে।
শিমের উপকারিতা
গাঢ় সবুজ রঙের এই সবজি শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত। ভর্তা, ভাজি, তরকারি কিংবা
পাকোড়া কিনা তৈরি করা যায় এই সবজি দিয়ে। ।অনেকেরই পছন্দের সবজির তালিকায় শিমের
নাম রয়েছে প্রথম সারিতে।শিমে ক্যালরির পরিমাণ কম রয়েছে তবে প্রচুর পরিমাণে
রয়েছে প্রোটিন , ফাইবার ভিটামিন সি , জিং ও মিনারেল রয়েছে যা শরীরের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
- শিমে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং শিমের মধ্যে থাকা খনিজ যা চুল পড়া রোধে কাজ করে শুধু চুল পড়ায় না ,চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
- এই সবজিটিতে পাচক আঁশ (ডায়েটরি ফাইবার) থাকায়, কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী।
- কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।
- শীতে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক আর প্রাণহীন। একটু যত্নআত্তির ঘাটতি হলেই শীতে ফেটে যায় ত্বক। নিয়মিত শিম খেলে ভালো থাকবে ত্বক। ত্বকের রোগবালাইও দূরে থাকবে ।
- এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিমের পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শুধু বাড়িয়েই দেয় না, রোগকে শরীর থেকে দূরে রাখে। তাই যত দিন শিম পাওয়া যাচ্ছে বাজারে, এটি হোক খাদ্যসঙ্গী।
- বিছা কামড়ালে শিম পাতার রস দিনে ২ বার করে ৩ দিন লাগালে আরাম পাওয়া যায় ।
- সাদা শিম বাতের ব্যথা বিনাশ করে হলদিয়া শিম সবচেয়ে বেশি উপকারী ।
- চূন ও শিম পাতার রস ২ থেকে ৩ বার করে ৪ থেকে ৫ দিন লাগালে কানের লতির বা কর্ণমূলের ফোলা কমে যায় ।
- গর্ভবতী মা এবং অনাগত সন্তানের পুষ্টি যোগাতে শিম বেশ কার্যকর।
- নিয়মিত শিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে অনেকাংশে।
- যারা প্রায়শই পেটের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য আদর্শ একটি খাবার শিম।
- এ ছাড়া রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিম বেশ কার্যকর।
- যাদের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ কিংবা র্যাশ প্রায়শই হয় তারা নিয়মিত শিম খেতে পারেন।
- অন্যদিকে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে শিমের বিচি রাখতে পারেন খাবার তালিকায়।
- এতে আছে ভিটামিন বি সিক্স। যা আপনার স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহয়তা করে। তাই শীতের এ সবজি রাখুন খাবার তালিকায় আর ঋতুভেদে থাকুন সুস্থ প্রাণবন্ত।
- শিমে রয়েছে সিলিকন জাতীয় উপাদান, যা হাড়কে মজবুত করে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট। এ উপাদান গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ উপকারি।
- শিমের ফুল রক্ত আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
- শিমের পরিপক্ব বীজে প্রচুর আমিষ ও স্নেহজাতীয় পদার্থ আছে। শিমগাছ শিকড়ের সাহায্যে বাতাস থেকে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করে মাটিকে উর্বর করে
- শিমে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে ভূমিকা রাখে। এর ফলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- শিমের অন্যতম বিশেষ একটি উপাদান হল কপার। ডোপামিন ক্ষরণের মূল উপাদান এটি। ফলে মুড ঠিক থাকে। স্ট্রেসের সমস্যাও কমে।
- হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে এই বিশেষ সবজিটি। শীতকালীন এই সবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ফসফরাস রয়েছে। এই ২ উপাদান হাড়ের যত্ন নেয়।
- ফুসফুসের জটিল রোগ ঠেকাতে সাহায্য করে শিমের গুণ। শিমের মধ্যে সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক রয়েছে। এই উপাদানগুলি ফুসফুস ভালো রাখে।
- শিমের মধ্যে ভিটামিন বি১ রয়েছে। এটি অ্যাসিটাইলকোলিন তৈরি করে। এই উৎসেচক হৃৎপিণ্ডের যত্ন নেয়।
- রক্তের কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ডের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিমে থাকা ডায়েটারি ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
শিমের বিচি খাওয়ার উপকারিতা
অনেকেরই পছন্দের সবজি শিম।শুধু শিম নয়, শিমের বিচিও সুস্বাদু-পুষ্টিকর একটি
খাবার। শিমের বিচিতে থাকে উচ্চমানের ফাইবার প্রোটিন,যা শরীরের জন্য খুবই
প্রয়োজন।
এছাড়াও শিমে রয়েছে শতকরা ২০ ভাগ প্রোটিন ও উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট।১০০ গ্রাম
শিমের বিচিতে আমিষ আছে ২৫ গ্রাম, যা গরুর মাংসের চেয়ে বেশি এবং মুরগির মাংসের
প্রায় সমান।
গর্ভবতীদের জন্য শিমের উপকারিতা
খুব দ্রুত পুষ্টি যোগায় শিমের বিচি। তাই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই খাবার অত্যন্ত
উপকারী। এছাড়া পুষ্টিকর খাবারটি শরীরের অন্যান্য উপকারও করে। ত্বকের জন্যও এটি
ভালো। কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে কালো
শিম যাঁদের জন্য নিষেধ
যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে।
যাঁদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি।
যাঁদের পিত্তথলিতে পাথর আছে।
মৌ শিম
মৌ শিম আরোহী, লতানো বর্ষজীবী থেকে বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। ফলের আকৃতির জন্যই এই
নামকরণ। এটি একটি আবাদি জাত। মাদাগাস্কার, তানজানিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতে সবজি
হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে গারো শিম, মৌ শিম, হাতী শিম, রাজ শিম, মাখন
শিম ইত্যাদি নামে ডাকা হয়ে থাকে। এর ভর্তা খুব সুস্বাদু। বিভিন্ন ক্ষুদ্র
নৃগোষ্ঠীর কাছে এটি খুব প্রিয় সবজি। গারো পাহাড়ে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে
জন্মায়।
এই প্রজাতির বীজ লাল। উদ্ভিদের মূল মাটির অনেক গভীরে যায় এবং উদ্ভিদটি ছায়া সহ্য
করতে পারে। আদি নিবাস পূর্ব এশিয়া। বাহারি উদ্ভিদ হিসেবে ঘরের বেড়ায় বা বাড়ির
সামনেও লাগানো হয়। এর বীজ থেকে ইউরিয়েজ আলাদা করে মানুষের রক্তের ইউরিক অ্যাসিড
শনাক্তকরণে ব্যবহার করা হয়। সবুজ সার তৈরিতেও এই উদ্ভিদকে ব্যবহার করা সম্ভব।
বমি,হাঁপানি,আমাশয়,কফ,মাথাব্যথা,মৃগীরোগ ও সিজোফ্রেনিয়ার চিকিত্সায় কোরিয়াতে এই
উদ্ভিদ ব্যবহূত হয়। শ্রীলংকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, কোরিয়া ও জাপানে এটি সাবান
তৈরিতেও কাজে লাগে। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল বা গারো পাহাড়ের বুনো পথ দিয়ে
হাঁটার পথে চোখে পড়তে পারে একে। কোনো গাছ বা অন্য কোনো অবলম্বনকে আঁকড়ে ধরে থাকে
সবুজ লতানো গাছ আর তাতে ঝুলে থাকে বড়সড় শিমের মতো ফল।
গড়নে তলোয়ারের মতো দেখতে। এই ফলটিই মৌ শিম।পাহাড়ি অঞ্চলের বাইরেও বিক্ষিপ্তভাবে
মৌ শিম দেখা যায়। এত দিন না হলেও অতিসম্প্রতি এর বাণিজ্যিক চাষ শুরু করা
হয়েছে।সম্প্রতি ময়মনসিংহ-জামালপুর সড়কে অবস্থিত ময়মনসিংহের চেচুয়া বাজারের পাশে
এক গ্রামে মৌ শিম গাছের দেখা পেয়েছি।
মৌ শিম আরোহী, লতানো বর্ষজীবী থেকে বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম
Canavalia gladiata।তলোয়ারের মতো আকৃতির কারণে ইংরেজিতেও ‘সোর্ড বিন’ নামে
পরিচিত। মৌ শিম একটি আবাদি জাতের উদ্ভিদ। আফ্রিকার মাদাগাস্কার ও তানজানিয়া এবং
বাংলাদেশ ও ভারতে সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে স্থানীয়ভাবে গারো শিম,
হাতি শিম, রাজ শিম, মাখন শিম ইত্যাদি নামে পরিচিত। এর ভর্তা খুব সুস্বাদু।
মৌ শিমের পুষ্টিগুণ
ক্যালোরি ৫১ গ্রাম ,কার্বোহাইড্রেট ৭.২ গ্রাম ,প্রোটিন ৩.৬ গ্রাম ,ফ্যাট ০. ২
গ্রাম ,ফলেট ২৫ মাইক্রগ্রাম , নিয়াসিন ১ মিলিগ্রাম,ভিটামিন সি ২০.১
মিলিগ্রাম,ভিটামিন এ ৩৮৬ আইইউ,ভিটামিন ই ০.৩৬ মিলিগ্রাম , ভিটামিন কে ৫৪
মাইক্রগ্রাম,সোডিয়াম ৮ মিলিগ্রাম,পটাশিয়াম ৩১১ মিলিগ্রাম,ক্যালসিয়াম ৭৮
মিলিগ্রাম,ম্যাগনেসিয়াম ৫৩ মিলিগ্রাম,ফসফরাস ৬৭ মিলিগ্রাম,জিংক ০.৬২
মিলিগ্রাম,ক্যারোটিন বি ২৩৪ মাইক্রগ্রাম,লুটেইন ৫৭৫ মাইক্রগ্রাম,খাদ্য আঁশ ৩.৫
গ্রাম ।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা শিম ও মৌশিম সম্পর্কে
বিস্তারিত পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন । আমাদের দৈনন্দিন খাবার
তালিকায় যে সবজিগুলো থাকে তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবার জানা উচিত । এতে করে আমরা
সবজি থেকে কতটুকু পুষ্টি পাচ্ছি তা জানা যায় ।আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে
থাকে তাহলে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে ভুলবেন না ।ভাল থাকবেন ,
ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url