গরুর মাংসের আঞ্চলিক কিছু রেসিপি জেনে নিন
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,আশা করি সবাই খুব ভাল আছেন। আজকের আলোচনার বিষয় গরুর মাংসের আঞ্চলিক কিছু রেসিপি।এই রেসিপিগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে ।এই আঞ্চলিক রেসিপি গুলো অনেকেই হয়তো জানেন না ।তাই সবার সুবিধার্থে রেসিপিগুলো আলোচনা করা হলো ।
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে গরুর মাংসের আঞ্চলিক রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন । তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
ভূমিকা
গরুর মাংস খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। গরুর মাংস প্রোটিনের প্রধান উৎস ।এই মাংস সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করলে স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো হয়ে থাকে ।গরুর মাংস রান্নার সময় সঠিক পরিমাণ মতো মসলা এবং রান্নার পদ্ধতি গুলো ঠিক থাকলে স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে ভালো হয়।
যা সহজেই পরিবারের পছন্দ হয় এবং সবাই মজা করে খায়। নানা অঞ্চলের নানা ধরনের খাবারের বিশেষত্ব থাকে এবং খাবার গুলো স্বাদে মানে আনে অনেক ভিন্নতা । গরুর মাংস অনেক ভাবে রান্না করা গেলেও আঞ্চলিক কিছু রান্না রয়েছে ।যা সবার কাছেই অনেক সুস্বাদু এবং সুনামি ও বেশ খ্যাতি অর্জন করে আসছে । দেশের আঞ্চলিক কিছু নামকরা গরুর মাংসের রান্না নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি ।
হারার মাংসের রেসিপি
এই রেসিপিটি সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের আঞ্চলিক ।রেসিপিটি সাধারণত সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ,বেলকুচি এসব এলাকার মানুষ রান্না করে এই রেসিপিটি ।
উপকরণ প্রণালী
- গরুর মাংস
- পেঁয়াজ থেঁতো করে নেয়া
- রসুন থেঁতো করে নেয়া
- আদা বাটা
- রসুন বাটা
- তেজপাতা
- কাঁচামরিচ ফালি
- লবঙ্গ
- দারুচিনি
- গোলমরিচ
- সাদা এলাচ
- কালো এলাচ
- হলুদ
- মরিচ গুঁড়া
- সরিষার তেল
- সজের গুড়া বা হারার মসলা
- স্বাদমতো লবণ
প্রস্তুত প্রণালী
এই রেসিপিটি রান্না করার আগে হারার মসলাটি তৈরি করে নিতে হবে । হারার মসলাটি হলো (রাধুনী , মৌরি , ধনিয়া , লবঙ্গ , তেজপাতা , কালো গোলমরিচ এসব মসলা একটু ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে । এটাই হারার মাংসের বিশেষত্ব মসলা । এটিকে আবার সজের গুড়া ও বলা হয় )
এবার একটি পাত্রে মাংস নিয়ে তাতে লবণ , হলুদ ,মরিচের গুঁড়া , সজের গুড়া , রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো , কাঁচামরিচ ফালি ,লবঙ্গ , তেজপাতা , দারুচিনি , গোল মরিচ , সাদা এলাচ ,কালো এলাচ ,সরিষার তেল , দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে । তবে মাংসটি হাড় চর্বি সহ নিতে হবে । এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে সরিষার তেল দিয়ে গরম মসলা, তেজপাতা, থেঁতো করা পেঁয়াজ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
এরপর এতে আগে থেকে মাখানো মাংস গুলো দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে তাতে জিরা বাটা দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে রান্না করে নিতে হবে । কিছুক্ষণ রান্না করার পর নামানোর আগে গরম পানি দিয়ে জিরার গুড়া ও সরিষার তেলের সাথে দিয়ে ৫-১০ মিনিট চুলায় রেখে নামিয়ে নিতে হবে ।
আটার গরুর মাংসের রেসিপি
গাইবান্ধায় তুমুল জনপ্রিয় আটার ডাল বা চালের গুড়া বাটার সঙ্গে মাংসের তরকারি ।অনেক বছরের পুরনো এই খাবারটি। শুধু গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয় নয় এখন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে এর জনপ্রিয়তা বা নাম ডাক । গাইবান্ধার অনেক এলাকায় বিশেষ এই খাবারটি খুবই জনপ্রিয় ছিল । এখনো এই খাবারের প্রচলন থাকলেও কালের বিবর্তনে এর পরিসর কমে এসেছে ।
উপকরণ প্রণালী
- গরুর মাংস
- ভাতের চাল
- মরিচ গুঁড়া
- আদা বাটা
- পেঁয়াজ কুচি
- রসুন বাটা
- আস্ত ধনিয়া
- আস্ত জিরা
- সাদা এলাচ
- কালো এলাচ
- দারচিনি
- পাঁচফোড়ন মসলা
- গোলমরিচ
- লবঙ্গ
প্রস্তুত প্রণালী
আস্ত ধনিয়া,আস্ত জিরা,সাদা এলাচ,কালো এলাচ,পাঁচফোড়ন মসলা,গোলমরিচ,লবঙ্গ সবগুলো একসাথে হালকা ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে।তবে এগুলো খুব মিহি করা যাবে না । ভাতের চাল ১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে । চাল থেকে গুঁড়া করে নিতে হবে। পুরোটা যেন মিহি না হয় । এবার একটি পাত্রে তেল দিয়ে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
এবার এতে আদা ও রসুন বাটা ,হলুদ গুঁড়া , মরিচ গুঁড়া এবং আগের গুড়া করা মসলা ও লবণ দিয়ে কষিয়ে তাতে মাংস ঢেলে কষিয়ে নিতে হবে ।মাংস কষানো হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে ।এবার একটি পাত্রে ২ লিটার পানি দিয়ে তাতে তেজপাতা , সয়াবিন তেল , কাঁচামরিচ বাটা , আদা বাটা , রসুন বাটা , আগের গুঁড়া করা মসলা ও হলুদ ,গোটা কাঁচামরিচ ও স্বাদ মত লবণ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ফুটিয়ে নিতে হবে।
পানি ফুটে এলে তাতে চালের গুঁড়া আস্তে আস্তে ঢেলে দিতে হবে । যাতে চালের দলা পেকে না যায় । অল্প অল্প করে সবটা আটা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে১০ মিনিট মত কষে নিতে হবে ।কষানোর পরে আটার মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে তাতে গরম পানি ঢেলে দিতে হবে যেন আটার ঘনত্বটা ডালের চেয়ে সামান্য গাঢ়ো হয় ।
এরকম অবস্থায় ৫ মিনিট রান্না করতে হবে রান্না করার পর আরো ২ কাপ গরম পানি দিয়ে এবার তাতে কষানো মাংস ঢেলে । আগের গুড়া মসলা দিয়ে রান্না করে পেয়াজঁ বেরেস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে নিতে হবে । তারপরে পরিবেশন করতে হবে ।
এই রান্নাটির বিশেষ বিশেষত্ব হলো আদা , রসুন বাটা ছাড়া রান্নাতে যত মসলা ব্যবহার করা হবে । সবগুলো মিহি গুঁড়ো করা যাবে না ।
গরুর মাংসের আলুঘাঁটি রেসিপি
এই রেসিপিটি বিশেষ করে বগুড়া , নওগাঁ এবং নাটোর জেলার কিছু কিছু উপজেলায় রান্না করা হয়ে থাকে ।
এই রান্নাটির বিশেষ বিশেষত্ব হল মাংসের আলুঘাঁটি টি বেশ মজার হয়ে থাকে এবং রান্নার পদ্ধতি খুবই সহজ । এবার আসুন তাহলে জেনে নেই রেসিপিটি ।
উপকরণ প্রণালী
- গরুর মাংস ১ কেজি
- আলু দেড় কেজি
- পেঁয়াজ আধা কেজি
- শুকনা মরিচের গুড়া পরিমাণ মতো
- কাঁচামরিচ ৭ থেকে ৮ টি
- আদাবাটা পরিমাণ মতো
- রসুনবাটা পরিমাণ মতো
- ধনেপাতা পরিমাণ মতো
- জিরা বাটা পরিমাণ মতো
- কালো এলাচ ছয় সাতটি
- সাদা এলাচ ৮-৯ টি
- তেজপাতা ৩-৪টি
- হলুদ পরিমাণ মতো
- সয়াবিন তেল ২০০ গ্রাম
- দারচিনি ২ টুকরো
- লবঙ্গ ১ থেকে ২ টি
- গোলমরিচ ৩-৪টি
- লবণ স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ম্যাশ করে নিতে হবে। তারপরে গরুর মাংস ধুয়ে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেয়াজঁ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে তাতে তেজপাতা ,দারুচিনি, লবঙ্গ , গোলমরিচ , কালো এলাচ , সাদা এলাচ দিয়ে ভেজে নিয়ে বাদামি হলে এবার এতে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভেজে নিতে হবে। তারপরে স্বাদমতো লবণ,হলুদ,মরিচের গুঁড়া,জিরা ও ধনিয়ার গুঁড়া দিয়ে ভালোমতো কষিয়ে নিতে হবে।
কষানো হয়ে গেলে এতে ধুয়ে রাখা মাংসগুলো ঢেলে ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে যাতে মসলাগুলো মাংসের সাথে ভালোভাবে মিশে যায় । মাংসগুলো অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে এলে ম্যাচ করা আলু ঢেলে দিতে হবে । তারপর ভালো করে কষিয়ে ৩-৪ কাপ পানি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ৮ থেকে১০ মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর বলক ফুটে ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে ।
সাতকরা গরুর মাংস রেসিপি
এই রেসিপিটি সিলেট জেলায় অনেক বিখ্যাত । এটি সিলেট জেলার আঞ্চলিক রেসিপি
উপকরণ প্রণালী
- গরুর মাংস ১ কেজি
- একটি সাতকরা টুকরো করে কাটা
- সয়াবিন তেল আধা কাপ
- আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ
- জিরা বাটা ১ চামচ
- ১ চামচ হলুদ গুঁড়া
- ২ চামচ মরিচ গুঁড়া
- ২ চামচ গরম মসলা গুড়া
- ১ চামচ ধনিয়া গুঁড়া
- ২ থেকে ৩ টা তেজপাতা
- গরম মসলা পরিমাণ মতো আর
- লবণ স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে । এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে দারুচিনি , আস্ত গরম মসলা , তেজপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে লাল করে ভেজে নিতে হবে ভাজা হয়ে গেলে এবার এতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে ।
এবার পানি দিয়ে মাংসগুলো দিয়ে শতকরা দিয়ে দিতে হবে । তারপরে কিছুক্ষন কষানোর পরে ১ কাফ গরম পানি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে ৪৫ মিনিট । রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
গরুর মাংসের পিঠালি বা ম্যান্দা রেসিপি
এই রেসিপিটি জামালপুরে বেশ জনপ্রিয় একটি রেসিপি ।জামালপুরের আঞ্চলিক রেসিপি এটি ।
উপকরণ প্রণালী
- গরুর মাংস
- চালের গুঁড়া
- পেঁয়াজ কুচি
- রসুন বাটা
- আদা বাটা
- সয়াবিন তেল
- মরিচের গুঁড়া
- হলুদের গুঁড়া
- ধনে গুঁড়া
- জিরা গুঁড়া
- তেজপাতা
- কাঁচা মরিচ
- গরম মসলা
- স্বাদমতো লবণ
প্রস্তুত প্রণালী
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।এরপর একটি পাত্রে সব মসলা দিয়ে মাংসটা মাখিয়ে ৩০মিনিট রেখে দিতে হবে ।এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে মাখানো মাংস ঢেলে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে । মাংস কষানো হয়ে গেলে এতে দেড় লিটার পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে । ১০ মিনিট ফুটানোর পর ধীরে ধীরে চাউলের গুড়া মেশাতে হবে আর নাড়তে হবে।
যাতে চালের গুঁড়া দলা বেঁধে না যায় । চালের গুঁড়া সম্পূর্ণ মেশানোর পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রান্না করে নিতে হবে ।রান্না করা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে । এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি , রসুন কুচি , আধা চামচ জিরা , আধা চামচ মেথি দিয়ে বাগার দিতে হবে। এবার এই বাগার রান্না করা মানুষের মাংসের ভিতর ঢেলে মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে ।
নারকেলের দুধ আর কাটা মসলায় গরুর মাংসের রেসিপি
এই রেসিপিটি কুষ্টিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক রেসিপি
উপকরণ প্রণালী
- গরুর মাংস
- পেঁয়াজ কুচি
- রসুন কুচি
- আদা মিহি কুচি
- আধ ভাঙা কালো গোলমরিচ
- শুঁকনা মরিচ
- দারুচিনি
- বড় এলাচ
- ছোট এলাচ
- লবঙ্গ
- কালো গোলমরিচ
- তেজপাতা
- সরিষার তেল
- কাঁচা মরিচ
- নারকেল দুধ
- পেঁয়াজ বেরেস্তা
- লবণ স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালিঃ
চর্বি, হাড়সহ মাংস মাঝারি আকারে টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। বেরেস্তা ও কাঁচা মরিচ বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাংস মাখিয়ে ১ ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।মাংস চুলায় দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে এবং মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন তলায় লেগে না যায়। মাংসের পানি শুকিয়ে এলে নারকেলের দুধ দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে এলে বেরেস্তা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে ।
আস্ত রসুনে গরুর মাংসের রেসিপি
এই রেসিপিটি যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক রেসিপি ।
উপকরণ প্রণালীঃ
- গরুর মাংস
- পেঁয়াজ কুচি
- আদা বাটা
- রসুন বাটা
- শুকনা মরিচ গুঁড়া
- হলুদ গুঁড়া
- ধনে গুঁড়া
- জিরা গুঁড়া
- টালা জিরা গুঁড়া
- দারুচিনি
- ছোট এলাচি
- লবঙ্গ
- আস্ত রসুন
- তেল
- লবণ স্বাদমতো
- বাটা মসলার মিশ্রণ (তৈরি করতে লাগবে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, দারুচিনি, ছোট এলাচ,লবঙ্গ ,গোলমরিচ, শুকনা মরিচ, রাঁধুনি,সরিষার তেল। সব উপকরণ তেলে ভেজে মাংসের ঝোল দিয়ে গ্রাইন্ডার বা পাটায় ভালো করে বেটে নিতে হবে।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
রসুনের খোসা যেহেতু ছড়ানো হবে না, তাই পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। হাড়, চর্বিসহ মাংস মাঝারি টুকরা করে কেটে ধুয়ে ,পেঁয়াজ ও লবণ দিয়ে মাংস মাখিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। পাত্রে তেল গরম করে গরম মসলার ফোড়ন দিয়ে তাতে সব বাটা মসলা কষিয়ে নিতে হবে।
এবার কষানো মসলাতে হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া দিতে হবে।কিছুক্ষণ কষিয়ে তাতে মাংস দিতে হবে। মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতেভবে। এভাবে মাংস ৮০ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে এলে আস্ত রসুনগুলো দিয়ে নেড়ে দিতে হবে। ঝোল কমে এলে বাটা মসলার মিশ্রণ ও টালা জিরার গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আঞ্চলিক গরুর মাংসের রেসিপিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন আশা করি । এই আঞ্চলিক রেসিপি গুলো অনেকের অজানা । তাই এই রেসিপিগুলো আপনারা জেনে বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন ।আর এই আঞ্চলিক রেসিপি গুলোর স্বাদ অসাধারন।
এ রকম আরো বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ।আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে । তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন ।আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি । ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন , আল্লাহ হাফেজ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url